হিমাচলকে হারিয়ে ঘুরে দাড়ানোর রসদ পেলো ত্রিপুরা
হিমাচল প্রদেশকে হারিয়ে চণ্ডীগড়ের কাছে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হারার দু:খ, আক্ষেপ কিছুটা হলেও ভুলতে পারবে ঋদ্ধিমান সাহা বাহিনী। দিল্লীতে বিজয় হাজারে ট্রফি একদিনের ক্রিকেটে আজ ত্রিপুরা-হিমাচল প্রদেশকে ৩৯ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো। ত্রিপুরার ৮ উইকেটে ২৬১ রানের জবাবে হিমাচল প্রদেশ ৪৬.২ ওভার খেলে ২২২ রানই তুলতে পারে। ব্যাটিং, বোলিং এবং অন্যবদ্য ফিল্ডিং এই তিন বিভাগে আজ টিম ত্রিপুরা আইপিএল তারকাখচিত হিমাচল প্রদেশকে হারিয়ে জয়ের স্রোতে ফিরলো। এবার সামনে গুজরাট। তবে আজকের ম্যাচে মণিশঙ্কর মুড়াসিংকে পুরানো চেনা ছন্দে দেখা গেল। যা এতদিন এই মুড়াসিংকেই দেখতে চাইছিল টিম ত্রিপুরা। তবে একা মুড়াসিং নয় আজ ম্যাচ জয়ে ব্যাটে বলে অনন্য ভূমিকা নেয় শুভম ঘোষ। বল হাতে তিন উইকেট তোলার আগে সপ্তম উইকেটে মণিশঙ্কর মুড়াসিংয়ের সঙ্গে ৫৩ বলে অনবদ্য ৭৬ রানের জুটি দলের জয়ের পথ মজবুত করে দিল। বাবার শেষ ইচ্ছেই যেন পূরণ করছে শুভম। হিমাচলকে হারানোর পর ঋদ্ধিমানদের আপশোস ইস্ চণ্ডীগড় ম্যাচটা জিতলে আজ লীগ টেবিলের উপরেই থাকা যেতো। তবে আজ একটা টিম হিসাবে খেললো ভাস্কর পিল্লাইর দল। তবে দলের জয়েও সুদীপ চ্যাটার্জির অফ ফর্ম নিয়ে দলে বেশি চিন্তা থাকছে। তবে সময় হয়েছে সুদীপের জায়গায় স্থানীয় কাউকে খেলানোর। এদিন ত্রিপুরা প্রথম ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়। বিশাল ঘোষ ও বিক্রম দাস ইনিংস শুরু করে জুটি ৪৬ রান তুলতেই বিক্রম ১৯ (৩৩) আউট । ৬৩ রানের মাথায় বিশাল ঘোষ ৪০ (৫১) আউট। সুদীপ (১৫) দলীয় ৮৩/৩ রানে ফিরে আসে। এরপর চতুর্থ উইকেটে দীপক ক্ষত্রি ৪৬ (৫৪) (৩×৪, ১×৬) ও অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা ৩৩ (৪০) মিলে ৬৮ বলে ৬৩ রান যোগ করে। দীপক ১৪৬/৫ আউট হলে ১৫৭/৬ রজত দে (৩) আউট। মণিশঙ্কর ও ঋদ্ধিমান জুটিতে স্কোর ১৭৬/৭ পৌঁছে। ঋদ্ধিমান আউট হলে মণিশঙ্কর মুড়াসিং ও শুভম ঘোষ মিলে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেয়। মণিশঙ্কর এদিন সেট হতে মারমুখী হয়ে উঠে। জুটিতে ৫৩ বলে ৭৬ রান যোগ হয়। শুভম ২৩ বলে ২১ আউট হলে অভিজিৎ সরকার (৪) ফিরে যায়। মণিশঙ্কর ৫১ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে যায়। তার ইনিংসে তিন চার ও চারটি ছয় ছিল। ২৬১/৮ ত্রিপুরার স্কোর পৌঁছে। হিমাচলের পক্ষে কেডি সিং (৪৫/২) ও ডি রঙ্গি (৪৪/২) উইকেট পায়। ম্যাচ জেতার জন্য দরকার ২৬২ রান। রানার প্রথম ওভারের তৃতীয় (ম্যাচের দ্বিতীয় ওভার) বলে প্রশান্ত চোপড়া ফিরতেই ত্রিপুরার বোলাররা চেপে ধরে বিপক্ষকে। এ আরোরা ৬২ (৮৪) (৬×৪) রান আউট হলে চাপ বাড়ে হিমাচলে। তার আগে অবশ্য এ কুমার ২৫ (৬১), এন গাঙ্গা (১২) দ্রুত মাঠ ছাড়ে। অধিনায়ক আর ধবন ৪৫ (৩৫) শুভমের বলে আউট হতেই পরপর দু’জন রান আউট হয়ে যায় এস ভার্মা (৩), ডি রঙ্গি (১২) ও তাদের পেছনে ডাগরও (১) রান আউট। ১৪৮/৪ থেকে ১৮৪/৭ হলে হিমাচল শিবিরে আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪৬.২ ওভার খেলে ২২২ রানই তুলতে পারে তারা। ত্রিপুরা ৩৯ রানের জয় পায়। মণিশঙ্কর মুড়াসিং (৮.২-০-৪১-১), রানা দত্ত (৮-০-২৯-১), শুভম ঘোষ (১০-০-৪৭-৩) ভালো বোলিং করে। চার ম্যাচ শেষে ত্রিপুরার সংগৃহীত পয়েন্ট এখন ৮।