৮৪ দেশের ৫০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য এখন হ্যাকারদের হাতে
চুরি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য। সম্প্রতি এই
চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে একটি জনপ্রিয় হ্যাকিং ফোরাম। জানানো হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ তথ্য ইতিমধ্যেই অনলাইনে বিক্রি করছে হ্যাকাররা। রিপোর্টে জানানো হয়েছে ২০২২ সালের সাম্প্রতিক এই তথ্যে রয়েছে মোট ৪৮১৭ কোটি মোবাইল নম্বর। সেখানে ৮৪টি দেশের ফোন নম্বর চুরি হয়ে গিয়েছে।
এই মুহূর্তে বিশ্বের জনপ্রিয়তম ইনস্ট্যান্ট
মেসেজিং অ্যাপ। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের
কার্যকারিতা এখন আর কেবলই ইনস্ট্যান্ট
মেসেজিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তার চেয়ে
অনেক বেশি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এখন ভয়েস ও ভিডিও কলিং, ছোট থেকে বড় ফাইল পাঠানো, এমনকি টাকাও পাঠানো যায়। তাই, মেটা-র ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা কতটা জরুরি, তা প্রায় সকলেই
বোঝেন। বিশেষ করে যে হোয়াটসঅ্যাপের এখন বিশ্বব্যাপী দুশো কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী আছে। কিন্তু তারপরেও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।
হ্যাকিং কমিউনিটির এই দাবি সত্যি হলে প্রতি
চার জন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের মধ্যে এক জনের তথ্য পৌঁছে গিয়েছে হ্যাকারদের কাছে। অনলাইনে প্রত্যেক দেশ অনুযায়ী এই তথ্য পৃথকভাবে বিক্রি শুরু করেছে হ্যাকাররা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে তিন কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কিনতে খরচ হচ্ছে ৭ হাজার ডলার , ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ টাকা। এদিকে ব্রিটেনের এক কোটি হোয়াটসঅ্যাপ
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বিকোচ্ছে আড়াই হাজার ডলারে। সম্প্রতি ‘টেক রেডার’ নামে এক ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপের সব চ্যাট ও কল এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে। তাই ফোন নম্বর ফাঁস হলেও চ্যাটের কথোপকথন হ্যাকারদের হাতে পৌঁছায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক এই ডেটা ফাঁস হওয়ার ঘটনা নিয়ে এখনও মেটার তরফেও সরকারিভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। চুরি হওয়া ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করে হ্যাকাররা স্প্যামিং, ফিশিং, আইডেন্টিটি থেফটের মতো আরো অন্যান্য সাইবার ক্রাইম করতে পারে।