তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী যেন জ্ঞানের জাহাজ,লোকে বলছে ‘গুগল গার্ল’
উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার কোতোয়ালি গ্রামাঞ্চলের সালপুর বাজারের বাসিন্দা রামধন তিওয়ারির ৮ বছরের মেয়ে রিয়া
যেন এক বিস্ময় বালিকা। রিয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এই বয়সেই সে যেন এক চলমান এনস্লাইকোপিডিয়া। একরত্তি মেয়ের এ-হেন তথ্য-ভান্ডার দেখে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ‘গুগল গার্ল’ নামে তার কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে। রিয়া বিশ্বের সব কটি মহাদেশ, মহাসাগরের নাম, বিশ্বের প্রতিটি দেশ এবং তাদের রাজধানী, তাদের মুদ্রা, সেখানকার প্রতিটি রাজ্যের নাম গড়গড় করে বলে দিতে পারে। ভারতের রাজধানী দিল্লি সম্পর্কে তার মগজে যা তথ্য আছে, স্নাতক স্তরের অনেক পড়ুয়রও তা
নেই। রিয়া ভারতের সমস্ত জেলা,
ভারতের প্রতিটি প্রধান বন্দর, প্রধান
জাতীয় উদ্যান, প্রবাহিত প্রতিটি প্রধান
নদী, রাষ্ট্রপতি , উপরাষ্ট্রপতি র নাম
শৈশব থেকেই মুখস্থ বলতে পারে।
রিয়া ভারতের প্রতিবেশী দেশ এবং সীমান্ত লাইন সম্পর্কেও তথ্য রাখে
তার ক্ষুদ্র মগজে। রিয়া তুর্কি ও
মোগল সাম্রাজ্যের সমস্ত শাসকের
নাম এক নিঃশ্বাসে বলে দিতে পারে।
এর পাশাপাশি সংস্কৃতে লেখা শাস্ত্রের
মধ্যে সবচেয়ে কঠিন বলে পরিচিত
মহেশ্বর সূত্র, শিব তাণ্ডব এবং গীতার
সমস্ত শ্লোক এই বয়সেই সে সংস্কৃতে পাঠ করতে পারে। স্বভাববতই এমন
বিস্ময় বালিকাকে মানুষ এখন গুগল
গার্ল বলে ডাকতে শুরু করেছে।
অনেকেই তার সম্পর্কে মন্তব্য
করেছেন, ‘রিয়ার জ্ঞানের দৌড় দেখে
মনে হয় সে পিএইচডি করেছে।’
রিয়ার বাবা রামধন তিওয়ারি পেশায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষক। মেয়ের ভিডিয়ো তিনিই
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন,
যা অচিরে ভাইরাল হয়েছে। রামধন
বলেছেন, রিয়া ২ বছর বয়সে বই পড়া
শুরু করেছিল। রিয়া যে বই দেখত,
সেটাই পুরোটা পড়ার চেষ্টা করত।
বাবাকে সারাদিন নানা প্রশ্ন করে
ব্যতিব্যস্ত করে রাখত। অসীম তার
কৌতূহল।
তেমনই ক্ষুরধার স্মৃতিশক্তি ।
যা কিছু একবার পড়ে, সেটাই তার
মগজে গেঁথে যায়। রিয়া কবীর,
তুলসীদাস, সূর্যকান্ত ত্রিপাঠি, নিরালা,
সুরদাস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
জীবনী পড়ে ফেলেছে এবং সবটা
উৎসাহী লোকদের সে শোনাতেও
পারে। তৃতীয় শ্রেণির এই ছাত্রী দ্বাদশ
মানের বই পড়তে পারে সহজেই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক
অখিলেশ প্রতাপ সিং রিয়া সম্পর্কে
বলেন, ‘রিয়ার মতো প্রতিভা রাজ্যের
প্রাথমিক শিক্ষাদফতরের কাছে গর্বের
বিষয়।