‘ইমার্জেন্সি’ : কঙ্গনার লুকস রীতিমতো চমকে দিয়েছে সাধারণ দর্শককে
চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বরাবরই ভালবাসেন কঙ্গনা। এই ছবি নিয়ে দু-এক কথায় আনন্দিতা সরকার।
বক্স অফিসে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ধাকড়’ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু তাতে কঙ্গনা থামেননি। এবার তিনি একবারে কোমড় বেঁধে নেমেছেন বোঝাই যাচ্ছে। তবে এবার তিনি পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেত্রীর ভূমিকায় একসঙ্গে কাজ করছেন। ‘ইমার্জেন্সি’র আগে ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ সিনেমায় সহ পরিচালকের ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। জয়ললিতার পর এবার ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় আসতে চলেছেন কঙ্গনা।
অস্কারজয়ী প্রস্থেটিক রূপটান শিল্পী ডেভিড মালিনস্কি কাজ করেছেন এই ছবিতে। বিভিন্ন নামকরা হলিউড সিনেমায় এই রূপটান শিল্পীর অসামান্য কাজ দেখে সবাই মুগ্ধ হয়েছেন বারবার। কঙ্গনার ইন্দিরা গান্ধী লুকস এই শিল্পীরই হাতের ছোঁয়ায়। কঙ্গনার লুক দেখে অবাক হতে হয়। স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী যেন সম্মুখে দাঁড়িয়ে।
কঙ্গনা একজন নামকরা অভিনেত্রী। যে কোনও চরিত্রই তিনি খুব ভাল করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
শুধু দেখতে হলেই তো হল না, পাশাপাশি ব্যক্তিত্বকেও ধরে রাখতে হবে। সেই দিক থেকে কঙ্গনা অনেকটাই এগিয়ে। টিজার দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে কঙ্গনা কতটা দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিতে প্রস্তুত এই সিনেমায়। ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমার গোটা টিম এই ছবিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। ঋতেষ শাহ-র চিত্রনাট্য নিয়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা যথেষ্ট আশাবাদী।
ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন কঙ্গনা যেখানে তাকে একটি লোকেশনে দলের সঙ্গে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। সেই ছবিতে তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, নিজের পরিচালনায় তিনি পরবর্তী কাজ শুরু করেছেন যার নাম ‘ইমার্জেন্সি’। বলিউড ‘কুইন’ জানিয়েছেন, অভিনেত্রী হলেও একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেই তিনি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আবার পরিচালকের ভূমিকায় আসতে পেরে তিনি আনন্দিত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে কাজ করা এবং গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পরে তিনি জানিয়েছেন, যদি এর জন্য তাকে একাধিক অভিনয়ের সুযোগও ছাড়তে হয় তাও তিনি এই সিনেমা পরিচালনা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নায়িকা ভীষণ উত্তেজিত এই সিনেমার কাজকে কেন্দ্র করে। কঙ্গনা তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, এই ছবির মাধ্যমে একটি দুর্দান্ত সফর হতে চলেছে।
পাশাপাশি কঙ্গনা আরও স্পষ্ট করে জানান, ‘ইমার্জেন্সি’ অবশ্যই একটি রাজনৈতিক সিনেমা তবে এটি ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়। এটি একটি গ্র্যান্ড পিরিয়ড ফিল্ম। এটি একটি রাজনৈতিক সিনেমা যা এই প্রজন্মকে বর্তমান ভারতের সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থান বুঝতে সাহায্য করবে। ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবি বক্স অফিসে ভাল রেসপন্স করেছিল। এবারও পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউৎ যথেষ্ট আশাবাদী ‘ইমার্জেন্সি’র সাফল্য নিয়েও। টিজার এবং ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হওয়ার পর দর্শকের রেসপন্স তিনি যেভাবে পেয়েছেন তাতে এটা প্রমাণিত যে মানুষ এই ছবি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা বিশ্বাস রাখছেন, তিনি দর্শকের আশা পূরণ করতে পারবেন। ফিল্ম ক্রিটিকরা ইতিমধ্যেই ‘ইমার্জেন্সি’ ছবির টিজার নিয়ে নানা মতামত দেওয়া শুরু করেছেন। এরকম বিষয় নিয়ে যেখানে ছবি তৈরি হচ্ছে, সেখানে কনট্রোভার্সি তৈরি হবে না, তা তো হতে পারে না। তবে সব বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে যদি শুধুমাত্র বিনোদনের দিকে নজর দেওয়া যায় তাহলে এই সিনেমা যে আগামী দিনে এক বিরাট জায়গা দখল করে নেবে তা অনেক ছবি সমালোচকরাই মনে করছেন।