দেশের হয়ে পতাকা বহন করতে না পেরে হতাশ নীরজ
নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই : বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এইবারের কমনওয়েলথ গেমসের আসর। আর সেখানেই শেষ মুহূর্তে চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন ভারতের সোনা জয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। দেশবাসীকে হতাশ করে গত মঙ্গলবারই তিনি কমনওয়েলথ গেমসে না নামার কথা জানিয়ে ছিলেন। ফলে এবারের আসরে ভারতের হয়ে জাতীয় পতাকা হাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে দেখতে পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয় এই আসরে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইও করতে পারবেন না নীরজ।
আর সেই কারণেই চোটের জন্য ছিটকে গিয়ে হতাশ ২৪ বছরের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের এই তারকা অ্যাথলেট। চোট পেয়ে গেমস থেকে ছিটকে যাওয়ার পর অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। ২৪ বছরের অ্যাথলিট নিজের খারাপ লাগার কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দেশবাসীর নীরজের প্রতি যে প্রত্যাশা ছিল সেটা তিনি রক্ষা করতে না পারার ফলে সেই পোস্টে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সবার কাছে।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছিল, কুঁচকির চোটের কারণে তিনি মাঠে নামছেন না। তবে কুঁচকির চোট গুরুতর না হলেও ঝুঁকি নিতে চাননি নীরজ। চিকিৎসকদের পরামর্শে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন কমনওয়েলথ গেমস থেকে। এমআরআই স্ক্যান রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা নীরজকে আগামী এক মাস বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টে গত কমনওয়েলথ গেমসের আসরে সোনা জিতেছিলেন নীরজ। শুধু তাই নয়, সদ্যই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপ থেকে রুপো জিতে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রানাডার অ্যান্ডারসন পিটারসের কাছে হারতে হয়েছিল তাকে। ফলে সোনা হাতছাড়া হয় তার।
শুধু তাই নয় স্টকহোম ডায়মন্ড লিগেও গ্রানাডার এই প্রতিপক্ষের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন নীরজ। তবে কমনওয়েলথ গেমসে সেই পিটারসের বিরুদ্ধে বার্মিংহামে গত দু’টি হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল নীরজের কাছে। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না।
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অলিম্পিকে ভারতের সোনার ছেলে লিখেছেন, ‘আমি বার্মিংহামে আয়োজিত হতে চলা কমনওয়েলথ গেমসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব না। খুব হতাশ লাগছে। নিজের খেতাব ধরে রাখতে পারব না। ভারতীয় দলের পতাকা বহনের সম্মান পেয়েছিলাম। এই সুযোগ বার বার আসে না। খুব অল্প মানুষই এই সম্মানের অধিকারী হন।’
এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে লম্বা দৌড়ের জন্য আমার পক্ষে কমনওয়েলথ গেমস থেকে বাইরে থাকাটা উচিত হবে। এর ফলে আমার চোটের ঝুঁকি কমবে। আমি আইওএ, এএফআই, সাই সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকরা আমাকে পরীক্ষা করেছেন এবং তারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন রিহ্যাবের জন্য। আশা করছি, আবার দ্রুত ট্র্যাকে ফিরতে পারব।’